বড়লেখা(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার এর বড়লেখা উপজেলার চা বাগান গুলোতে শুরু হয়েছে নতুন চা পাতা কুঁড়ি তুলা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বাংলাদেশ চা বোর্ড পরিচালিত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগান ও পাথরিয়া চা বাগানে নতুন চা পাতার কুঁড়ি তুলতে আনন্দে আত্মহারা চা শ্রমিকরা।
নিউ সমনবাগ চা বাগান ও পাথারিয়া চা বাগানে শুরু হয়েছে চা উত্তলন ও (টিপিং) চা গাছে পুনিং করার ফলে তিন থেকে চার মাস বন্ধ ছিল চা উত্তলন। চা গাছে পুনিং শেষে আবার নতুন কুড়ি এসেছে চা গাছে। এতে চা বাগান ফিরছে সবুজের সমারোহে।
পূজা আর্চনা দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাতা তুলার উদ্বোধন করেন নিউ সমনবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিদ নেওয়াজ, আরো উপস্থিত সহকারী ব্যবস্থাপক রাজ নারায়ণ পাল, চা ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক এমদাদুল হোক, ,নিউ সমনবাগ চা বাগানের কর্মরত অফিস করনিক ইমরান আহমেদ, টিলা করণিক বাবু কৃপাময় দাস (পিংকু) বাবু বদ্রি প্রশাধ উপাধ্যায়, ও বাবু দীপক কুর্মী।
বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কন্দ মুন্ডা, সাধারণ সম্পাদক কালি প্রসাদ ভর, পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য বেনু চাষা,পরিমল রিকমুন, চা শ্রমিক সর্দার কাজল সাঁওতাল,রাজেশ কালোয়ার, শ্যামল বাক্তি, সাবেক বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নারায়ণ কালোয়ার , সাবেক ইউপি সদস্য মতিলাল রায়,বিশিষ্ট মুরুব্বী মিঠুয়া রবিদাস (দাসু) সর্দার রাংগা চরন সাঁওতাল, রাসবিহারী রবিদাস, শচিন রায় (সানু)ও সাংবাদিক অজিত দাস।
ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিদ নেওয়াজ বলেন এবার মৌসুমের শুরুতেই আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং চা গাছে নতুন কুঁড়ি চলে আসায় বেশ কিছু বাগানে ট্রিপিং শুরু হয়ে গেছে। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চা মৌসুম শেষ হয়ে যায়। তখন চা গাছে প্রুনিং করা হয়। এসময় দুই থেকে তিন মাস চা ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকে। মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টি হলে আবার চা শিল্পে আসে প্রাণচাঞ্চল্য।